রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে মামলা
প্রকাশিত : ২০:২১, ১৪ মার্চ ২০২৩
কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১১ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা রোহিঙ্গা যুবক মো. সেলিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ঐ ক্যাম্পের একটি ব্লকের সহকারী মাঝির দায়িত্ব পালন করেন।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, ২০/২৫ জনের দুর্বৃত্তের দল একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১১ নম্বর ক্যাম্পের কয়েকটি জায়গায় একই সময়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগায় বলে বাদী তার এজহারে উল্লেখ করেন। গতকাল সোমবার রাতে লিখিত এজহার জমা দেন।
ওসি জানান, এজহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আজ বিকেলে থানার এসআই খায়ের উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ মার্চের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাশকতা বলে প্রমাণ পেয়েছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করতে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত রবিবার বিকেলে এই প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। প্রতিবেদনে আগুনের ঘটনায় নেপথ্য উদঘাটনে নিয়মিত মামলা দায়ের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ ১২টি সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত কিন্তু কারা ঘটিয়েছে সেটা জানা যায়নি। মামলা দায়ের করে গভীর তদন্তে কারা আগুন লাগিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গ, গত ৫ মার্চ দুপুরে উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘরসহ ২ হাজার ৮০৫টি নানা স্থাপনা এবং ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, ৫ শতাধিক মানুষ আহত হন। পুড়ে যায় ১০ হাজারের বেশি ঘর।
কেআই//
আরও পড়ুন